সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: যিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙবেন তার বিরুদ্ধেই অ্যাকশন নেয়া হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি। আমাদের কাছে সব প্রার্থীই সমান। এমনকি প্রার্থিতাও বাতিল করা হতে পারে। শুধু তাই নয়, আচরণবিধি ভঙ্গ করলে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। আবার যদি কেউ ভয় দেখান বা হুমকি-ধমকি দেন, তাহলে তিনি অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন। আইন অনুসারে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ৩ টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন-কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা এসব কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, ভোটাররা কোন প্রকার বাধা ছাড়া ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিতে পারবেন। মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হালিমুল হক মিরু বলেন, আমার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী চয়ন ইসলামকে শুক্রবার শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। তবে শাস্তির উপর অনেকটা নির্ভর করছে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের অপরাধ প্রবনতা। এ বিষয়টি ইসিকে জানিয়েছে।
সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইট বলেন, আশা করছি নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ করবে। সেই আস্থা রেখেই আমি আমার সমস্যার কথা গুলো জানিয়েছি৷
জেলা প্রশাসক মীর মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক আনিসুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের শেখ কামাল অডিটোরিয়ামে জেলার প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।